অলোক মজুমদার, চিতলমারী প্রতিনিধি: নভেল করোণা ভাইরাস(কোভিড-১৯)এর প্রাদূভার্বে দেশে চলছে ১৪দিনের বিশেষ লকডাউন।এই লকডাউন কেহ মানছে আবার লকডাউন না মেনে বাইরে বের হবার প্রবনতা বেশী লক্ষ্য করা গেছে।
লকডাউনে যাত্রীবাহী দূরপাল্লারর যানবাহন চলাচল না করলেও স্থানীয়ভাবে চলছে ইজিবাইক,মাহেন্দ্র, অটো ভ্যান।মালবাহী যানবাহন চলাচলের অনুমতি থাকায় কৃষকের উৎপাদিত পন্য পরিবহন করছে।তবে ন্যায্য দাম পাচ্ছে না কৃষক।
সাগরে নিম্নচাপের কারনে প্রবল বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের সবজিক্ষেত।সারা দেশে সবজি উৎপাদনে অনেক জেলার মতো বাগেরহাট সবজি উৎপাদনে তালিকার প্রথম দিকের একটি জেলা।কৃষকরা ঘেরের পাড়ে(লিচ)তরকারী উৎপাদন করে থাকে।অতি বৃষ্টিতে পাড় সমান পানি হওয়ার ফলে গাছগুলো রৌদ্রের কারনে শুকিয়ে যাচ্ছে।গাছে ফল বলতে হয় তেমন নেই আর ফলের দাম নিম্নমুখী।
বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার অধিকাংশ চাষীরা সবজি চাষের উপর নির্ভরশীল।ঘেরে মাছ এবং পাড়ে তরকারী চাষাবাদ প্রধান আয়ের উৎস।জেলার অন্যান্য উপজেলায় সবজি চাষ হলেও চিতলমারী সবার উপরে।
চিতলমারীর সবথেকে বড় সবজির পাইকারী বাজার বসে খাসেরহাট বাজারে।বাজার ঘুরে দেখা গেছে শশা,করলা,উচ্ছে,সিম,চালকুমড়া বিক্রি করতে আনছে চাষীরা।শশা ও করলা এখন বেশি বাজারে।দাম হতাশাজনক।এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রি করতে আসা বিক্রেতাদের সাথে।বাবুয়ানার অসিত বাড়ৈ,দেবাশিষ,উমাজুড়ির অনুপ বিশ্বাস,অসিম বাড়ৈ,ব্রক্ষ্মগাতীর স্বপন,গজালিয়ার রমেশ,জাহাঙ্গীর শেখ,কালিগন্জের কিশোর,হায়দার,ঠেটার চরের আকবর,তপনদের সাথে।তাদের আভিযোগ আমরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছিনা।ফরিয়াদের কারসাজিতে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
এছাড়া বাখরগঞ্জ বাজারে তরকারী বিক্রি করতে আসা হালিশহরের অনাদি,চৌদ্দহাজাররি কৃষ্ণ,মোস্তাকিন,লড়ারকুলের মিলন,সেকেন্দার,হাচান,নাছিরপুরের নিত্যানন্দ,সন্তোষপুরের দেব,মিলন,হীরামন,শচিন,কাটিপাড়া,রায়গ্রাম,সুড়িগাকী ,খিলিগাতী থেকে আগত বিক্রেতারা জানান আমরা কোন তরকারীর ন্যায্য দাম পাচ্ছি না।শশা প্রতি কেজি শনিওরবি বারে বিক্রি করেছি ৬-৭টাকা কেজিতে।৪২কেজিতে মন নিয়েও ব্যাপাররিা একটু বড়োর অযুহাত দেখিয়ে আনো ২-৩কেজি বেশি নিয়ে যায়।করলা (৪২)মন ৪০০-৫০০টাকা।আমাদের চাষের খরচ ওঠা এবছর কষ্টকর।
এই প্রতিবেদকেরসাথে কথা বাখরগঞ্জ বাজারে অনেক পাইকারীদের(ব্যাপারী)সাথ্লেকডাইনের কারনে ঢাকার ব্যাপারীরা আসতে না পারা,অতিবৃষ্টিতে তরকারীর দাম কম এ কথা জানালেন পার্থ মজুমদার,জাহাঙ্গীর শেখে,এমদাদ,রবিউল মাঝি,আলামিন শেখ,দেপাড়ার মাসুদ মোল্লা,লড়ারকুলের বাবলু মোল্লা,আলী,মান্ন্দ্রার সোহাগ বলেন লকডাউনে এবং বৃষ্টির জন্য মালের দাম কম।তাছাড়া লকডাউনে ঢাকায় লোকজন কম,মালের চাহিদা কম।আমরা মাল ঢাকা,সিলেট ,বরিশাল সহ বিভিন্ন এলাকার আড়তে পাঠাই।আমরা আজ শশা ১১-১২টাকা করে কিনেছি।যেরকমের বিক্রি করি সেই ভাবে মাল কিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।